বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করুন খুব সহজেই – Pay via Bkash with Digital IT Park

digital it

সকালকে আনন্দের সাথে জানাচ্ছি,

ডিজিটাল আইটি পার্কে চালু হয়েছে নতুন বিকাশের পেমেন্ট সুবিধা। নতুন বিকাশের পেমেন্ট কমেছে খরচ মাত্র ১.৬% চার্জ। সাথে ঝামেলা কমলো বিকাশে পেমেন্ট করে এখন থেকে আর প্রয়োজন হবে না বার বার পেমেন্ট করার পর Trx আইডি দিয়ে পেমেন্ট ভেরিফাই করার। এখন থেকে আপনি চাইলে বিকাশের মাধ্যমে যে কোন পেমেন্ট করতে পারবেন খুব সহজেই। আর পেমেন্ট করলেই অটো ভেরিফাই হবে ইনভয়েস যা একদম সহজ। তাই প্রয়োজনে পেমেন্ট করুন বিকাশের।

কীভাবে পেমেন্ট করবেন বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন  

ইন্টারনেটে এক মিনিটে কী কী ঘটে?

digital it

শ্বব্যাপী ইন্টারনেটের পরিসর দিন দিন বাড়ছে। ইন্টারনেটের মাত্রা এত ব্যাপক যে এতে মাস ভিত্তিতে তথ্য দেখার পরিসংখ্যান বা দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য দেখার পরিসংখ্যানগুলো বোঝা ভার। প্রতি দিনে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে কী পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান, ভিডিও দেখা, ছবি আপলোড বা ব্রাউজিং করা হয়, তা-ও বোঝা মুশকিল। ইন্টারনেটে প্রতি দিন বা মাসে নয়, প্রতি ৬০ সেকেন্ডে (এক মিনিটে) কী ধরনের ডেটা তথ্য লেনদেন ও অর্থ ব্যয় হয়, তার একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি মিনিটে ইন্টারনেটে কী কী ঘটে, তা-ও বলা হয়েছে সেই তালিকায়।

ছবি শেয়ারিংয়ের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রতি মিনিটে শেয়ার হয় ৪৬ হাজার ২০০ ছবি। আর এতে ব্যয় করা হয় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৫২২ ডলার। ১৮ লাখ স্ন্যাপ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতি মিনিটে টিন্ডারে ৯ লাখ ৯০ হাজার সোয়াইপ গণনা করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নানান তথ্য খোঁজার জন্য প্রতি মিনিটে ৩৫ লাখ বার অনুসন্ধান করেন গুগলে।

ছবি: রয়টার্স
ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে ৬০ সেকেন্ডে ৪১ লাখ ভিডিও দেখা হয়। টুইটারের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টুইট করা হয়। ফেসবুকে প্রতি মিনিটে ৯ লাখ বার লগইন হয়। মেসেঞ্জার ব্যবহার করে মিনিটে ১৫ হাজার জিআইএফ পাঠানো হয়।

২০০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রতি মাসে ফেসবুক ব্যবহার করেন। এর অর্থ হলো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ বছরের যেকোনো এক মাসে অন্তত একবার ঢুঁ মারেন সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মাধ্যমে।

ছবি: রয়টার্স
গুগলের প্লে স্টোর থেকে ৩ লাখ ৪২ হাজার অ্যাপ ডাউনলোড করা হয় প্রতি এক মিনিটে। হিসাবটা সহজেই ঘণ্টা, দিনে মিলিয়ে নিতে পারেন।

ছবি সংগৃহীত
পেশাজীবীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট লিঙ্কডইনে প্রতি সেকেন্ডে দুটি করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, অর্থাৎ মিনিটে ১২০টি।

আমরা যখন ইন্টারনেটে এক মিনিট ধরে ব্যস্ত সময় পার করছি, ঠিক সে সময় সারা বিশ্বে নিজের প্রয়োজনে মানুষ ১৫ কোটি ৬০ লাখ মেইল পাঠাচ্ছে। ইকোনমিক টাইমস ও ভিজ্যুয়ালক্যাপিটালিস্ট অবলম্বনে রাশেদুল আলম

আমরা যারা ডোমেইন-হোস্টিং বুঝি না- ও বিপদে পড়ি, তারা কিভাবে এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসবো?

digital it

নিজের একটি ব্লগ বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট অনলাইনে লাইভ থাকার মজাই আলাদা। অনেকে নিজের নামে ওয়েবসাইট খুলতে পছন্দ করেন। বেশ কিছু মানুষ আছেন যারা ব্লগ সাইট খোলেন নিজের মেধা ও জানা-অজানা তথ্য গুলোকে বিশ্বের সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য। তবে যারা ব্লগ সাইট খোলেন, তাদের ভেতর অধিকাংশ মানুষ আশা করেন ব্লগ থেকে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করবেন। ইন্টারনেট থেকে সরাসরি টাকা উপার্জন এর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান “ব্যবসায়িক” ওয়েবসাইট বা “সেবা বিক্রয়” ওয়েবসাইট খোলেন। আপনি যে ধরনের ওয়েবসাইট এর মালিক বা খুলতে আগ্রহী হোন না কেন, আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেট এ পাবলিশ/লাইভ করার জন্য যে দুইটা জিনিস প্রথম লাগবে, সেগুলো হলোঃ

ইউনিক ডোমেইনঃ
ডোমেইন হলো ওয়েবসাইট এর নাম-ঠিকানা। যেকোনো ইন্টারনেট ভিজিটর,ব্রাউজার এ আপনার ওয়েবসাইট এর নির্দিষ্ট ডোমেইন প্রবেশকরিয়ে, আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ওয়েবসাইট এর বিষয় ভিত্তিক “ডোমেইন” নাম নির্বাচন করে ওয়েবসাইট তৈরি অনেক ভিজিটর পাওয়া যায়। আর এই ক্ষেত্রে সহজ সরল ডোমেইন নাম বেছে নেওয়া উচিত।

হোস্টিং সার্ভিসঃ
আপনার ওয়েবসাইট কে একটি নির্দিষ্ট হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে হোস্ট করে, আপনার ওয়েবসাইট কে ইন্টারনেট এ লাইভ করে বিশ্বের সকলের কাছে উন্মুক্ত করাই হলো পরবর্তী ধাপ। যেকোনো ওয়েবসাইট মালিক এর জন্য সবচেয়ে ভালো “ওয়েব হোস্টিং” বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “হোস্টিং সার্ভার” ই মূলত আপনার ওয়েবসাইট এর ভেতরের তথ্য গুলোকে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে এবং ভিজিটরদের চাহিদা মতো ইন্টারনেট এ উপস্থাপন করে। ফলে ভিজিটর রা সহজে নিজের পছন্দ মতো তথ্য বেছে নিতে পারেন।
ইন্টারনেট এ “ডোমেইন” রেজিস্ট্রেশন এর সময় যেসব সুবিধা ও অসুবিধায় আপনারা অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন, তার কিছুটা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ
নতুন কিমবা পুরাতন যে কোনো ওয়েবসাইট এর জন্য ডোমেইন নাম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।নতুন ওয়েবসাইট তৈরির সময় যথোপযুক্ত “ডোমেইন নাম” নির্বাচনে ওয়েবসাইট মালিকেরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, আপনার পছন্দের ডোমেইন টি অন্য কোনো ওয়েবসাইট ব্যাবহার করছে। এ ক্ষেত্রে হতাস না হয়ে, ডোমেইন নাম এর শেষের অংশের “ডট কম”এর পরিবর্তে অন্যান্য টি এল ডি যেমনঃ ডট নেট, ডট ওআরজি, ডট ইন এই সব দিয়ে আপনার ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন এর চেষ্টা করুন।এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর জন্য দেশী-বিদেশী বহু কোম্পানি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দিয়ে থাকে। বিদেশী ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে গো ডেডী, নেম চিপ, নেম কোম্পানি অন্যতম। এইসব বিদেশী ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান এর গ্রাহক সেবার মান অত্যন্ত উন্নতমানের।কিন্তু এদের কাছ থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনাকে তার মূল্য ডলার দিয়ে পরিশোধ করতে হবে। প্রয়োজন হবে পেপাল, মানি বুকারস বা ইন্টারন্যাশনাল ভিসা/মাস্টার কার্ডের। ফলে বাংলাদেশ থেকে বিদেশী ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা অত্যন্ত কষ্টকর। তবে এইসব বিদেশী ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারলে ভালো।বিদেশী কোম্পানি থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর পুরো পদ্ধতি টি নিজে নিজে করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। অন্য কারো মাধ্যমে এই সব সাইট থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।বিশেস করে অন্যের ভিসা/মাস্টার কার্ড দিয়ে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করলে, কিছু দিন পরে কার্ডের মালিকানার কাগজপত্র ঠিকঠাক দিতে না পারলে, আপনার ওয়েবসাইট এর ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমাদের বাংলাদেশি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ভিসা/ মাস্টার কার্ড বা ডলার দিয়ে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর ঝামেলা নাই। এই ব্যাপারে আমাদের বাংলাদেশি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক ভালো। এখানে খুব সহজেই ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা যায়। বাংলাদেশি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে আরো বড় বড় সমস্যা আছে যেগুলো কখনো কখনো আপনার মাথা খারাপ করে দিতে পারে। বেশ কিছু বাংলাদেশি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল দেননা বা দিতে চান না। তারা বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, আপনাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আপনার ডোমেইন এর কন্ট্রোল প্যানেল নিজেদের কাছে রেখে দেন এবং পরবর্তী তে কারনে অকারনে আপনার কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করবেন। এদের কাছ থেকে সাবধান। টাকা না দিলে এরা আপনার কেনা ডোমেইন এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় অথবা ভালো ডোমেইন হলে অন্য কার কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে ডোমেইন নিলে, তারা আপনার শখের ডোমেইন এর পুনঃ রেজিস্ট্রেশন মুল্য নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ বা তিনগুন বেশি দাবী করবে। আপনি দেশী কিমবা বিদেশী যে কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করুন না কেন, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর পুরো প্রক্রিয়া নিজে নিজে করার চেষ্টা করুন অথবা বিশ্বস্ত কারো সাহায্য নিন।ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার আগে জেনে নিন, সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে ডোমেইন এর পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল দিবেন কিনা? যদি না দেন,তবে ঐ সব প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলুন। এক্তা বিষয় লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশে যতগুলো ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, তারা সবাই বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে “ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা”র রিসেলার একাউন্ট নিয়ে নিজস্ব নাম ব্যাবহার করে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দেয়।
বাংলাদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের ওয়েবসাইট এ সস্তায় ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দেয়। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, “এদের এড়িয়ে চলুন”। লোভে পড়ে এদের কাছ থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করলে দেখা যাবে, আপনার সাধের ডোমেইন এর রেজিস্ট্রেশন কিছুদিন পর বাতিল হয়ে গেছে অথবা অন্য কন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সব চেয়ে বর কথা এরা আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল দিতে চাইবে না। পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল দিলেও আপনি পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর সময় আপনার নাম, ঠিকানা, আপনার ই-মেইল ও আপনার মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করুন। এতে আপনি কিছুটা নিরাপদ থাকবেন। অন্য কারো ই-মেইল কখনো ব্যাবহার করবেন না।
বাংলাদেশি অনেক ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, যারা “প্রিমিয়াম ডোমেইন” বিক্রি করেন। তারা বলেন, “প্রিমিয়াম ডোমেইন” নাকি তারা ৪০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেন। আসলে বাস্তবে “প্রিমিয়াম ডোমেইন” নামে কোনো ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা বাংলাদেশে নেই। অতএব এদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। বিদেশী ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে, নামকরা দামি ডোমেইন গুলোকে “প্রিমিয়াম ডোমেইন” হিসেবে বিক্রি করে। যার এক একটার দাম পঞ্চাশ-ষাট হাজার টাকারও বেশি।
বাংলাদেশি অনেক ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর সাথে বিনামুল্যে “প্রাইভেসি প্রটেকশন” সেবা প্রদান করে। এ ধরনের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা উচিত।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এর পর্ব শেষ হলে, ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং না নিলে যে সব সমস্যা হতে পারে তার কিছুটা আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ
হোস্টিং কোম্পানির সার্ভার ভালো না হলে, আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হবে না। আস্তে আস্তে লোড হবে। এতে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটররা বিরক্ত হবে এবং আপনার ওয়েবসাইট এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে।
ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং না নিলে, প্রায় সার্ভার “ডাউন” থাকবে এবং মাঝে মাঝে “সার্ভার এরর” দেখাবে।
সার্ভার এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হবে। ফলে ভাইরাস ও হ্যাকার দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট আক্রান্ত হতে পারে। এর ফলাফল অত্যন্ত মারাত্মক।
হোস্টিং কোম্পানি ভালো না হলে তাদের সার্ভার এর ব্যাকআপ সার্ভিসও ভালো হয় না। এতে আপনার ওয়েবসাইট এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়ে যেতে পারে। এমন কি আপনার পুরো ওয়েবসাইট সার্ভার থেকে হারিয়ে যেতে পারে। বুঝে দেখুন, কি ভয়ংকর ব্যাপার।
হোস্টিং কোম্পানি ভালো না হলে, তাদের কাস্টোমার সার্ভিস ভালো হয় না। তাদের ওয়েবসাইট এ “সাপোর্ট টিকেট” ও মোবাইল সেবা প্রায় বন্ধ থাকে। ফলে তাদের কাছ থেকে সরাসরি কোনো সাহায্যও পাওয়া যায় না। হোস্টিং কোম্পানি ভালো হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাস্টোমার এর সমস্যার সমাধান করে।
হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং প্যাকেজ নির্বাচনের সময় কিছু সাবধানতা মেনে চললে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এতে আপনি ও আপনার ওয়েবসাইট নিরাপদ থাকবেন। অযথা বাড়তি ঝামেলায় পরবেন না।
ওয়েবসাইট হোস্টিং কোম্পানি গুলো শেয়ারড, রিসেলার, ভিপিএস, ক্লাউড, ডেডিকেটেড হোস্টিং নামে বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং প্যাকেজ বিক্রি করে। আপনার ওয়েবসাইট এর ধরন ও ভিজিটর এর উপর ভিত্তি করে হোস্টিং প্যাকেজ বাছাই করা উচিত। সাধারন ব্লগ সাইট বা ছোটো খাটো ওয়েবসাইট গুলো শেয়ারড হোস্টিং দিয়ে ভালোই চলে। তবে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ই-মেইল মার্কেটিং, ভিওআইপি সার্ভিস এর জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিপিএস, ক্লাউড, ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যবহার করেন। এসব হোস্টিং এ প্রচুর টাকা খরচ হয়। তবে এই সব হোস্টিং প্যাকেজ এ সেবার মান সবচেয়ে ভালো। আমাদের মতো সাধারন ব্যবহারকারী দের জন্য শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজ এ বিভিন্ন ক্যাটাগরির হোস্টিং প্যাকেজ থাকে। চাহিদা মতো বেছে নিলেই ভালো। কারন শেয়ারড হোস্টিং এর সার্ভার গুলো আজকাল অনেক উন্নত মানের।
ওয়েবসাইট এর জন্য হোস্টিং সব সময় বড় বড় হোস্টিং কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে নেওয়া উচিত, যাদের হোস্টিং সেবার সুনাম রয়েছে। গ্রীন হোস্টিং, হোস্ট গেটর, হোস্ট পাপা, আই পেইজ এরা হোস্টিং ব্যবসায় অত্যন্ত সুনাম ধারী প্রতিষ্ঠান। এদের অতুলনীয় হোস্টিং সেবা ও ডেডিকেটেড “কাস্টমার সাপোর্ট” আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেট এ নিরাপদ ও সবসময় অনলাইন এ রাখবে। তবে এইসব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে হোস্টিং নিলে, খরচ অত্যন্ত বেশি পড়বে। বিদেশী হোস্টিং প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক ব্য্যবহুল। ডলার এর মাধ্যমে এদের হোস্টিং বিল পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে ডলার এর মাধ্যমে এদের হোস্টিং বিল পরিশোধ করতে অনেক ঝামেলা। পেপাল, মানি বুকারস বা ইন্টারন্যাশনাল ভিসা/মাস্টার কার্ড ছাড়া এই সব হোস্টিং প্রতিষ্ঠানএ হোস্টিং বিল পরিশোধ করা যায় না। আর অন্যের কাছ থেকে ডলার কিনে তারপর হোস্টিং এর বিল দেওয়ার ঝামেলা যে কত বেশি তা বলে শেষ করা যাবে না। ডলার বাটপার এর হাতে পড়লে তো পুরো টাকা শেষ। এই দিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের দেশীয় ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক ভালো। বিল পরিশোধ এর এতো রকমের ঝামেলা আমাদের দেশীয় ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান গুলোতে নেই বললেই চলে।
বিদেশী ভালো হোস্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে রিসেলারহোস্টিং নিয়ে, আমাদের বাংলাদেশি হোস্টিং প্রতিষ্ঠানও আজকাল ভালো হোস্টিং সেবা দেওয়ার চেস্টা করছে। কাস্টোমার এর চাহিদার কথা বিবেচনা করে তারাও বেশ ভালো হোস্টিংসার্ভিসের নিশ্চয়তা দেয়। আসল কথা হল ওয়েবসাইট হোস্টিংএ সমস্যা থাকবেই। কখনো তা “সার্ভার” এর সমস্যা কখনো বা ওয়েবসাইট এর মালিকের ভুলের কারনে হয়। তাই নতুনদের জন্য বাংলাদেশী হোস্টিং সার্ভিসে ওয়েবসাইট হোস্ট করা সুবিধাজনক। কারন, সে কোন সমস্যার সমাধান এর জন্য সরাসরি বাংলায় কাস্টোমার কেয়ার এর নাম্বারে কথা বলে সমাধান পাবার মজাই আলাদা । বাংলাদেশী হোস্টিং কোম্পানি গুলো তুলনামূলক কম টাকায় হোস্টিং সেবা প্রদান করে। আর হোস্টিং বিল পরিশোধ করতে বেশি বেগ পেতে হয় না।
সার্ভার এর “আপ-টাইম” ওয়েব হোস্টিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশির ভাগ বাংলাদেশী হোস্টিং কোম্পানি কাস্টোমারকে লোভ দেখানোর জন্য কম টাকায় হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে কম টাকার হোস্টিং সেবায় সার্ভার এর “আপ-টাইম” সমস্যা বেশি হয়। প্রায় সময় সার্ভার ডাউন থাকার কারনে, ওয়েবসাইট ঠিকমতো লোড হয় না। এটা আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাংলাদেশি কিমবা বিদেশী যে হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেন না কেন, সার্ভার এর সাধারন স্ট্যাটাস কেমন থাকবে তা নিশ্চিত হয়ে হোস্টিং নেওয়া উচিত। আজকাল অনেক বিদেশী হোস্টিং কোম্পানিতেও সার্ভার এর “আপ-টাইম” সমস্যা হয়। তাই যদি বিদেশী হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই নামকরা হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেওয়া উচিত।
হোস্টিং এর ক্ষেত্রে “ডিস্ক স্পেস” ও “ব্যান্ডউইথ” শব্দ দুইটি বেশি শোনা যায়। আমাদের অনেকের ধরনা ১জিবি হোস্টিং এর থেকে ২জিবি হোস্টিং ভালো, ৫জিবি হোস্টিং আরো ভালো। আসলে এই ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল। ১জিবি, ২জিবি, ৫জিবি- এগুলো সব “ডিস্ক স্পেস”। অনেকটা আপনার মেমোরি কার্ড এর মতন। “ডিস্ক স্পেস” এ আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর তথ্য সংরক্ষণ করে রাখবেন। আপনি আপনার মেমোরি কার্ড এ কি পরিমান তথ্য রাখবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার মেমোরি কার্ড কিনেন। ঠিক তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সেই নিয়মটি মেনে “ডিস্ক স্পেস” বাছাই করে হোস্টিং প্যাকেজ নির্বাচন করুন। ওয়েবসাইট এর আকার ও ওয়েবসাইট এর ভেতরের তথ্য যদি বেশি হয় তবে “ডিস্ক স্পেস” বেশি নিতে হবে আর ওয়েবসাইট এর আকার ও ওয়েবসাইট এর ভেতরের তথ্য যদি কম হয় তবে “ডিস্ক স্পেস” কম নিতে হবে। “ব্যান্ডউইথ” সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। “ব্যান্ডউইথ” জত বেশি হবে তত ভালো। লিমিটেড “ব্যান্ডউইথ” এর হোস্টিং প্যাকেজ নির্বাচন করা উচিত নয়। অনেকে ২০জিবি, ৫০জিবি কিমবা ১০০জিবি “ব্যান্ডউইথ” দিয়ে কম টাকায় হোস্টিং প্যাকেজ কিনে। পরবর্তীতে ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বেশি আসলে তারা বিপদে পড়ে। অতএব ২০জিবি, ৫০জিবি কিমবা ১০০জিবি এর ফাঁদে পা না দিয়ে যারা আন-লিমিটেড “ব্যান্ডউইথ” দিবে তাদের কাছ থেকে হোস্টিং কিনুন। এতে আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাসিক হোস্টিং প্যাকেজ গুলোতে আন-লিমিটেড “ব্যান্ডউইথ” সুবিধা থাকে। আমার মতে সেগুলো সবচেয়ে ভালো। কোনো কোনো হোস্টিং কোম্পানি আন-লিমিটেড “ডিস্ক স্পেস” এর সুবিধা দেয়। এদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারন এদের হোস্টিং এর মান খুব নিন্ম মানের হয়।
উন্নত সিপিউ ও র‍্যাম সম্রিধ্য সার্ভার থেকে ওয়েবসাইট হোস্ট করা উচিত। এতে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়। আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটররা ও খুশি হবে। অনেক হোস্টিং কোম্পানি তাদের কাস্টোমারের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাড়তি সিপিউ ও র‍্যাম ওয়েবসাইট হোস্টিং এ যোগ করার সুযোগ দেয়। এতে করে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বেশি সুযোগ পায় ও তারাতাড়ি লোড হয়। এই ধরনের “ভেলু এডেড সার্ভিস” শুধুমাত্র নামকরা হোস্টিং কোম্পানি গুলোর কাছে পাওয়া যায়। এদের কাছ থেকে হোস্টিং নেওয়া উচিত।
হোস্টিং এর ক্ষেত্রে “ডেডিকেটেড কাস্টোমার সার্ভিস” অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। যে সব হোস্টিং কোম্পানির কাস্টোমার সাপোর্ট দিনে ২৪ ঘন্টা ও বছরে ৩৬৫ দিন খোলা থাকে, তাদেরকে বাছাই করুন আপনার ওয়েবসাইট কে হোস্ট করার জন্য। ই-মেইল, চ্যাট, মোবাইল, সাপোর্ট টিকেট এর সুবিধা আছে এমন হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং নিবেন। যাতে আপনার ওয়েবসাইট এর যে কোনো সমস্যাই আপনি হোস্টিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সরাসরি যোগাযোগ এর সুযোগ থাকলে আরো ভালো। বাংলাদেশি অনেক হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা সার্ভার এ সামান্য সমস্যা দেখা দিলে “ই-মেইল, চ্যাট, মোবাইল, সাপোর্ট টিকেট” কাস্টোমার এর সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অতএব হোস্টিং কোম্পানি গুলোর মিষ্টি কথায় না ভুলে বুঝে শুনে হোস্টিং কোম্পানি বাছাই করুন।
আজকাল অনেক হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা নিত্য নতুন ফাঁদ পেতে ১০০০-১৫০০ টাকার ভেতর একসাথে “ডোমেইন” রেজিস্ট্রেশন ও হোস্টিং এর সুবিধা দেয়। তারা বিভিন্ন সস্তা হোস্টিং প্যাকেজ বানিয়ে শুধু মুনাফা বাড়ানোর চিন্তা করে। সাবধানে এই সব হোস্টিং প্যাকেজ এড়িয়ে চলুন। এই সব হোস্টিং কোম্পানির সেবার মান ভালো হয় না। আপনিই একটা সহজ হিসাব করুন- একটা “ডোমেইন” রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ হয় ৮৫০-১০০০ টাকা। তাহলে বাকি ৫০০-৬০০ টাকার হোস্টিং কতটুকু ভালো হবে? বাকিটা আপনাদের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম।
বাৎসরিক হিসেবে হোস্টিং না নিয়ে মাসিক হিসেবে হোস্টিং প্যাকেজ বাছাই করুন। এর সুবিধা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। মাসিক হিসেবে হোস্টিং প্যাকেজ নিলে, আপনার যদি কোনো হোস্টিং কোম্পানি ভালো না লাগে তাহলে আপনি সহজেই অন্য হোস্টিং কোম্পানিতে সরে আসতে পারবেন। খরচও ও সাশ্রয় হবে। আর যেহেতু আপনি মাসিক কাস্টোমার, সেহেতু হোস্টিং কোম্পানি গুলো আপনাকে ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য অব সময় চেষ্টা করবে।
যেসব হোস্টিং কোম্পানিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে অটোম্যাটিক সার্ভার ব্যাকআপ এর সুবিধা দেয় তাদের কাছ থেকে হোস্টিং সেবা নেওয়া উচিত। এতে করে আপনার ভুলের কারনেও যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে মুল্যবান তথ্য হাড়িয়ে যায়, হোস্টিং কোম্পানি তাদের নিজস্ব সার্ভার ব্যাকআপ থেকে আপনার হারিয়ে যাওয়া তথ্য আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে। বেঝে দেখুন, এটা আপনার জন্য কত বড় সুবিধা।
অনেক বাংলাদেশি হোস্টিং কোম্পানি আজকাল মুল্য ফেরত গ্যারান্টি দেয়। তাদের মধ্যে কয়টি হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে খারাপ হোস্টিং সেবার জন্য মুল্য ফেরত দিবে সেটা আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন। ৪০%, ৫০% মুল্য ছাড়ের ফাঁদে দয়া করে পা দিবেন না। এটা আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সহজ কথায়, ভালো ভালো হোস্টিং কোম্পানিতে মুল্য ছাড়ের প্রয়োজন হয় না। হোস্টিং প্যাকেজ এর মূল্য দেখে আপনি সহজেই হোস্টিং সেবার মান বুঝতে পারবেন।
বিদেশি বড় বড় হোস্টিং কোম্পানিতে শর্ত সাপেক্ষে মাসিক ১ পয়সা বা ১ ডলার দিয়ে হোস্টিং সেবা দেয়। ভালো করে শর্ত পড়ে দেখবেন, হোস্টিং বাবদ ১ম মাসে ১ পয়সা বা ১ ডলার এবং পরবর্তী মাসে ৭-১০ ডলার মাসিক হোস্টিং বিল লিখা আছে। অতএব ভালো করে সব কিছু পড়ে হোস্টিং কোম্পানির প্যাকেজ নির্বাচন করবেন। আজকাল বাংলাদেশি কিছু হোস্টিং কোম্পানি এই বাটপারি শুরু করেছে। বুঝতেই পারছেন কাস্টোমার ধরার জন্য দেশি-বিদেশি সব হোস্টিং কোম্পানিই এই রকম ধাপ্পাবাজি করে। এই সব ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।